Wednesday, December 28, 2016

পৃথিবীর সেরা দশটি রোগ প্রতিরোধক সবজি

Image result for শাক সব্জির গুনাগুন
সবজি আমাদের প্রত্যেকের খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিদিনই আমরা বিভিন্ন ধরনের সবজি খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা জানি না আই সবজিগুলোর পুষ্টিগুণ কি। এই ধরনের   সবজি নিয়মিত
খাওয়ার মাধ্যমে আমরা ক্যান্সার, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মত রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আমাদের শীর্ষ ১০টি সবজির গুনাগুন জানা দরকার।

টমেটো

সবজিটমেটো একটি ফল হলেও আমাদের দেশে এটি সবজি হিসেবে পরিচিত। শুধু আমাদের দেশেই নয় সারা বিশ্বেই এটি একটি পরিচিত সবজি।  সবজি এবং সালাদ হিসেবে ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ টমেটোর বেশ সমাদৃত।  টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি রয়েছে। টমেটোতে লাইকোপেন নামে বিশেষ উপাদান রয়েছে, যা ফুসফুস, পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, কোলন, স্তন, মূত্রাশয়, প্রোস্টেট ইত্যাদি অঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ব্রোকলি

সবজিব্রোকলি  বাঁধাকপি পরিবারের  একটি উদ্ভিদ।  ব্রোকলি সাধারণত সেদ্ধ বা কাঁচা খাওয়া যায়।তবে এটি কাঁচা সবজি হিসেবে জনপ্রিয়। পাতাও খাওয়া যায়। ব্রোকলিতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ,ভিটামিন বি৯,ভিটামিন কে ও বিটা-ক্যারোটিন আছে।  ব্রোকলি  কোষের ডিএনএ মেরামত, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রন ও   ক্যান্সারের   কোষ বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে। এছাড়াও হৃদরোগ প্রতিরোধ সাহায্য করে।

ব্রাসেল স্পাউট

সবজিব্রাসেল স্পাউট দেখতে অনেকটা বাধাকপির মত। ব্রাসেলস স্প্রাউট শীতকালীন ফসল।  একটি ডাঁটায় অনেকগুলো ব্রাসেল স্প্রাউট নিচ থেকে শুরু করে উপর পর্যন্ত  ধরে। এটি বাধাকপি ও ব্রকলি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।, ব্রাসেলস স্প্রাউটে ফাইবার, পটাসিয়াম , ওমেগা -3,  ভিটামিন সি, ভিটামিন   কে, ভিটামিন এ , ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস ও খনিজ পদার্থ আছে । ব্রাসেল স্পাউট  কোলন ক্যান্সার . রেটিনার ক্ষতি প্রতিরোধ , ত্বকের সৌন্দর্য,  দৃষ্টি তীক্ষ্নতা ফুসফুস এবং মুখের ক্যান্সার,হাড়ের গঠন ও শক্তিশালীকরণ,লোহিত রক্ত ​​কণিকা গঠন করে।

গাজর

সবজিগাজর একটি শীতকালিন সবজি। গাজর বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। যেমনঃ কমলা, সাদা ,কালো,লাল,হলুদ,বেগুনি এবং রক্তবর্ণের। তবে আমাদের দেশে সাধারনত কমলা রঙের গাজরটাই বেশি পাওয়া যায়। গাজর কাঁচা এবং রান্না করা এই দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায়। গাজরের পুষ্টিগুন অনেক। গাজর হল বিটা- ক্যারোটিন,ভিটামিন-এ,ভিটামিন-সি এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের  সমৃদ্ধ  উৎস। গাজর উন্নত দৃষ্টি প্রতিষ্ঠা,ক্যান্সার, উজ্জ্বল ত্বক,শক্তিশালী এন্টিসেপটি্‌, হার্ট ডিজিজ প্রতিরোধ,স্বাস্থ্যকর দাঁত এবং মাড়ি,স্ট্রোক প্রতিরোধ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করে। যকৃত ও পিত্তের অপ্রয়োজনীয় চর্বি হ্রাসের পাশাপাশি গাজর অনিদ্রা ও মাথাব্যথার মত অনেক জটিল সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে।

স্কোয়াশ

সবজিস্কোয়াশ প্রধানত চার প্রজাতির হয়ে থাকে। আমাদের দেশে সাধারণত এক ধরনের স্কোয়াশ দেখা যায়। যা আমাদের দেশে মিষ্টিকুমড়া নামে পরিচিত। স্কোয়াশ গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন ফসল। স্কোয়াশে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, বিটা-ক্যারোটিন পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার আছে।  স্কোয়াশ হাঁপানী, অস্টিওআর্থারায়টিস এবং রিউম্যাটয়েড স্ট্রোক ওক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

মিষ্টি আলু

সবজিআমাদের দেশে ২ ধরনের আলু পাওয়া যায়। এর মধ্য মিষ্টি আলু অন্যতম। আমাদের দেশে লাল এবং সাদা এই ২ ধরনেরই মিষ্টি আলু পাওয়া যায়।  মিষ্টি আলুতে ভিটামিন এ, বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন বি৬,ভিটামিন সি ভিটামিন ডি,খনিজ ম্যাগনেসিয়াম আছে। মিষ্টি আলু ​​হার্ট এটাক, ফ্লু ভাইরাস, ক্যান্সার, বিষক্রিয়াগত মাথাব্যথা থেকে আমাদেরকে মুক্ত রাখে। এছাড়াও হাড়, হার্ট, স্নায়ু, চামড়া, ও দাঁত নির্মাণ, লাল এবং সাদা রক্ত ​​কণিকা উত্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বেগুন

সবজিবেগুন আমদের দেশের একটি অতি পরিচিত একটি সবজি। আমাদের দেশে অনেক প্রজাতির বেগুন পাওয়া যায়। সব ধরনের বেগুনের পুষ্টিগুণ প্রায় একই। বেগুনে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, খনিজ, ভিটামিন এ  ভিটামিন বি,ভিটামিন সি পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম প্রোটিন, খনিজ পদার্থ ম্যাঙ্গানিজ এবং থায়ামাইন আছে। বেগুন রক্তে  কলেস্টেরল কমায়,  পরিপাক প্রক্রিয়া সাহায্য করে এবং করোনারি হার্ট রোগ প্রতিরোধ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

ক্যাপসিকাম

সবজিক্যাপসিকাম সারা পৃথিবীতে মিষ্টি মরিচ নামে পরিচিত। ক্যাপসিকাম সবুজ, লাল, হলুদ, কমলা, চকলেট রঙের হয়ে থাকে। ক্যাপসিকামে  ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, বিটা-ক্যারোটিন, আলফা-ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬ ভিটামিন কে আছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে  ক্যাপসিকাম ফুসফুস, কোলন, থলি এবং অগ্নাশয় ক্যান্সার থেকে মুক্ত রাখতে পারে।

পালং শাক

সবজিপালং শাক শিতকালেই পাওয়া যায়। এটিও আমাদের দেশে অধিক পরিচিত।  পালং শাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই,ভিটামিন কে এবং বিটা-ক্যারোটিন আছে। পালং শাক ক্যান্সার প্রতিরোধ এ বলিস্ট ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়াও হাড়ের গঠন মজবুত করে।

সবজিপেঁয়াজ

পেঁয়াজের গুনাগুন গাজর, মিষ্টি আলুর মত একই হলেও পেঁয়াজের কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য পেঁয়াজকে সেরা দশে অন্তর্ভুক্ত করেছে। পেঁয়াজ আমাদের হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি সাহায্য করতে পারে। পেঁয়াজ হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে। পেঁয়াজ এলার্জি শ্বাসনালীর প্রদাহ,মুখ ও দৈনিক খাদ্যনালী ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত রাখে।
সুত্রঃ http://soukhin.com.bd/?p=216

No comments:

Post a Comment