Tuesday, December 13, 2016

নবজাতককে সুস্থ রাখুন


তাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কম থাকায় অল্প শীত কাবু করে ফেলে নবজাতক শিশুদের। মায়ের গর্ভে বেশ গরম থাকে শিশুরা, ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর চারিদিকের ঠাণ্ডা পরিবেশ শিশুর রোগবালাই সৃষ্টি করতে পারে। তাই নবজাতক শিশুটি গরম পরিবেশে রাখা প্রয়োজন।
নবজাতক শিশুর যত্ন নিয়ে যুগান্তরকে পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিশেষজ্ঞ ড. সাখাওয়াত আলম :

* নবজাতক শিশুকে জন্মের পরই পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে মুছে শুকনো করা জরুরি। এরপর নবজাতক শিশুকে মায়ের বুকে রাখতে হবে এবং ত্বকে-ত্বক-স্পর্শ পরিচর্যা অন্তত একঘণ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

* অবশ্যই এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের বুকে দিয়ে শাল দুধ খাওয়াতে হবে।

* শিশুর মাথাসহ ঢেকে রাখতে হবে যাতে কোনোভাবেই তার ঠাণ্ডা না লাগে বা শরীর থেকে তাপ বের না হয়ে যায়।

নবজাতক শিশুকে গোসল করালে ঠাণ্ডাজনিত রোগে (যেমন নিউমোনিয়ায়) আক্রান্ত হতে পারে। তাই নবজাতককে ৭২ ঘণ্টা তথা তিন দিন পর গোসল করানো উচিত।

* শাল দুধ নবজাতকের জন্য প্রথম টিকা স্বরূপ এবং তা নবাজতককে জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

* নবজাতক জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বুকের দুধ খাওয়ালে মায়ের জরায়ু সংকুচিত হয় এবং জরায়ুর রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়।

* শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধই যথেষ্ট- এসময় এক ফোঁটা পানিরও প্রয়োজন নেই।

* শিশুকে মায়ের বুকের দুধ দিতে বারবার চেষ্টা করুন। যদি শিশুর মায়ের দুধ খেতে অসুবিধা হয় তাহলে সঠিক অবস্থান ও সঠিক সংযোজন নিশ্চিত করুন।

* শিশুর ত্বকে লাগানো সাদা আবরণ শিশুর চামড়া আর্দ্র ও নরম রাখে এবং শিশুকে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। যেহেতু সাদা আবরণ শিশুর শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে তাই প্রথম গোসল দেরিতে করানোই ভালো।

এছাড়া মায়ের স্তনের বোঁটায় যদি ঘা থাকে বা ফেটে যায়, যথেষ্ট পরিমাণে বুকের দুধ না হয়, স্তন ফোলা থাকে কিংবা দুগ্ধনালী বা স্তনের সংক্রমণ দেখা দেয় তাহলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরমার্শ নিন।

No comments:

Post a Comment