Sunday, January 8, 2017

শিশুদের ডায়াবেটিস থেকে বাঁচান, নইলে বিপদ

 
শুধু বড়রা নয়, শিশুরাও ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর ভয়ের বিষয় হলো গত কয়েক বছরে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।

 বিশেষজ্ঞের মতে, খাদ্যাভাস, জীবনাচরণ, ভাইরাস ইনফেকশন, এবং পরিবেশের দূষণ, মাত্রাতিরিক্ত ওজন ও জেনেটিক কারণে শিশুরা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

একটা বিষয় মনে রাখতে হবে শিশুরা আগামীর বাতি, তাই শিশুরা রোগাক্রান্ত হওয়া মানে আগামীদিনের জাতির পথ অন্ধকার। তাই শিশুদের ডায়াবেটিসসহ যাবতীয় রোগ থেকে মুক্ত করে তাদের স্বাভাবিক বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে।

তাই ডায়াবেটিসের মতো ভয়ঙ্কর ডিজিজের হাত থেকে আমাদের পরবর্তি প্রজন্মকে বাঁচাতে এখনই কিছু করা দরকার। না হলে কিন্তু ভয়ানক বিপদ!

এ রোগের নানা ধরনের লক্ষণ রয়েছে যেমন : তলপেটে ব্যথা, বারবার প্রস্রাবের চাপ, ক্লান্তি, খিচখিচে হয়ে যাওয়া, চোখের সমস্যা, শরীরের কিছু অংশে কোনও সার না থাকা, ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া, মাত্রাতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া, রক্ত চাপ কমে যাওয়া ইত্যাদি।

এছাড়া একাধিক গবেষণা পত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, শিশু যদি খুব অল্প বয়স থেকে গরুর দুধ খেতে শুরু করে তাহলে তার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

শিশুদের কী ধরনের ডায়াবেটিস হয় :

টাইপ ১ ডায়াবেটিস : মূলত বাচ্চাদেরই টাইপ ১ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। কিছু সেল ঠিক মতো কাজ না করার কারণে বাচ্চার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি হয় না তখনই সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। ইনসুলিনই হল সেই সৌনিক যে শরীরে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায়তা করে।ইনসুলিন তৈরি না হলে খাবার এনার্জিতে রূপান্তরিত হতে পারে না। সেই সঙ্গে শরীরে শর্করার মাত্রাও খুব বেড়ে যায়।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস : ইনসুলিন রেজিসটেন্সের কারণে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে বাচ্চা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। এক্ষেত্রে জেনে রাখাটা জরুরি যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চিকৎসা যদি ঠিক সময়ে শুরু না হয়, তাহলে রোগীর কিডনি ও হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেকাংশে বেড়ে যায়।

প্রি-ডায়াবেটিস : এক্ষেত্রে বাচ্চার শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলেও তা বিপদ সীমা ছাড়ায় না। ফলে ঠিক সময়ে যদি চিকিৎসা শুরু করা যায় তাহলে আগামী দিনে সেই বাচ্চার টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমানো যায়।
অনলাইন ডেস্ক, প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি, ২০১৭ ০৯:২২:৪৮

No comments:

Post a Comment