
বাবা-মা উভয়কেই নিতে হবে শিশুকে ভদ্রতা শেখানোর দায়িত্ব। মডেল: ছবি:রিপন
(প্রিয়.কম) শিশুরা অনুকরণপ্রিয়! তাদেরকে ছোটবেলা থেকে যেমন শেখানো হবে তারা তেমনই ব্যবহার
করবে। অভিভাবকেরা শিশুদের দাঁত ব্রাশ করানো, সময়মত স্কুলে পাঠানো সর্বোপরি বাহ্যিক সজ্জাকে পরিপাটি করতে যতটা মনোযোগ দেন ততটা দেন না আভ্যন্তরীণ বিকাশে। শিশুদের ভদ্রতা শেখানো বলতে আমরা বুঝি, মিথ্যে বললে বকা দেওয়া, দুষ্টুমি করলে নিষেধ করা, বড়দের সালাম বা আদাব দেওয়া। বড়দের সম্মান করা বা কারো সাথে দূর্ব্যবহার না করার কথাগুলো আমরা মোটা দাগে শেখানোর চেষ্টা করি, গভীর অর্থে নয়। এর ফলে বড় হয়ে পরিবারের গন্ডির বাইরে বিশাল পৃথিবীতে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয় তাদের। না চাইতেও ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে পারেন না অনেকে। তাই যত্নের সাথে শিশুকে শিষ্টাচারের দীক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। জেনে নিন কীভাবে-(প্রিয়.কম) শিশুরা অনুকরণপ্রিয়! তাদেরকে ছোটবেলা থেকে যেমন শেখানো হবে তারা তেমনই ব্যবহার
অন্যের সাহায্য নিন
আপনার সন্তান বলে তাকে সকল আদবকায়দা আপনাকেই শেখাতে হবে এমন কোন কথা নেই। অনেক সময় শিশুরা বাবা-মাকে সবসময় দেখে অভ্যস্ত হওয়ার কারণে তাদের কথা শুনতে চায় না। দেখা যায়, পরিবারে এমন অন্য কেউ রয়েছে যে কোন কথা বললে শিশুটি গুরুত্ব দিয়ে শুনছে। এতে ঈর্ষান্বিত বা হীনমন্য বোধ করার কিছু নেই।
ভাষায় আনুন ইতিবাচকতা
ভাষায় আনুন ইতিবাচকতা
আপনি যখনই শিশুর সাথে কথা বলছেন তখনই ইতিবাচক উপায়ে কথা বলুন। শব্দচয়নে এড়িয়ে চলুন নেগেটিভ শব্দ। সোজাসুজি ‘না’ বলবেন না। ‘এটা করো না, ওটা করো না’ না বলে বলুন ‘এভাবে করো’। আপনি যত এই অনুশীলন করবেন দেখবেন শিশুর আচরণেও এর ভালো প্রভাব পড়ছে। শুধু শিশুদের সাথে কথা বলার সময়ই নয়, অন্যদের সাথে কথা বলতেও অনুশীলন করুন এটি। কারণ আপনার সন্তান সারাক্ষণই আপনাকে অনুকরণ করছে।
থ্যাংক ইউ, সরি এবং প্লিজ
থ্যাংক ইউ, সরি এবং প্লিজ
আপনি অপরিচিত একজনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনার নাম কী?’ এই প্রশ্নটি ঘুরিয়ে বললেন, ‘আপনার নামটা কী জানতে পারি প্লিজ?’ প্রশ্ন করার কোন ধরণটি আপনার কাছে বেশি বিনয়ী মনে হচ্ছে? নিশ্চয়ই ২য়টি। প্রয়োজনুসারে থ্যাংক ইউ, সরি এবং প্লিজের ব্যবহার ভাষার দিক থেকে ভদ্রতার সমস্যার সমাধান করে দেয় সহজেই।
মজা করে শেখান
মজা করে শেখান
আপনার সন্তান যদি আদেশের সুরে আপনার সাথে কথা বলে তাহলে ভেংচি কেটে তার কথার ধরণটি তাকে ফিরিয়ে দিয়ে বলুন অনুরোধ করে না বললে কাজটি করবেন না আপনি। নিজেও শিশুকে কিছু করতে বলার ক্ষেত্রে আদেশের ভঙ্গি এড়িয়ে চলুন।
প্রতিটি সময়কেই গুরুত্ব দিন
প্রতিটি সময়কেই গুরুত্ব দিন
শিশুকে বাইরে নিয়ে যাওয়া, রেস্টুরেন্টে খাওয়া সকল ক্ষেত্রেই তার আচরণের দিকে লক্ষ্য রাখুন। কীভাবে খাবার অর্ডার করতে হয়, অর্ডার বদলাতে হলে কী করতে হয়, শান্তভাবে খাওয়া কেন জরুরি বা কোনকিছু কিনতে গেলে আগে কী কী খেয়াল করতে হবে এই সববিষয় আপনি যেভাবে করবেন সেভাবেই সে করবে।
সব কিছুই বলে শেখানো যায় না। বরং শিশুদের ক্ষেত্রে বলে শেখানোর পদ্ধতিটি সবচেয়ে ভুল পদ্ধতি। এতে তারা বিরক্ত হয় এবং কিছুদিন পর আর কোন কথা শোনে না। তাই তাকে বলার চেয়ে নিজে ভদ্রতার চর্চা করুন। নিজের কাজের জন্য অপরের ঘাড়ে দোষ না চাপিয়ে দায়িত্ব নিন। অপরের ব্যাপারে নাক না গলিয়ে, অপরকে হেয় না করে নিজের কাজে মনোযোগ দিন। আপনার শিশু আপনাআপনি এমন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠবে।
সূত্র: প্যারেন্টস
সম্পাদনা: কে এন দেয়া
প্রিয়.কম, https://www.priyo.com/articles/how-to-teach-kids-good-manners-2017114
No comments:
Post a Comment