Tuesday, February 28, 2017

পাঁচ এলাকার পাঁচ পদ

নারকেল কাচকি শুঁটকি ভর্তা

শুঁটকি মাছের মুখরোচক খাবার বাঙালির প্রিয় তালিকায় রয়েছে। একেক অঞ্চলে শুঁটকির একেক ধরনের খাবারের চলও আছে। বাংলাদেশের পাঁচটি অঞ্চলে শুঁটকি মাছ রান্নার প্রণালি থাকছে আজ।
রেসিপি দিয়েছেন জেবুন্নেসা বেগম
নারকেল কাচকি শুঁটকি ভর্তা, (নোয়াখালী)
উপকরণ: কাচকি মাছের শুঁটকি আধা কাপ, কোরানো নারকেল ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ ২টা ও লবণ সামান্য।
প্রণালি: শুঁটকি, শুকনা মরিচ ও পেঁয়াজ টেলে নিতে হবে। শুঁটকি, পেঁয়াজ ও শুকনা মরিচ বেটে নিন। নারকেল বেটে একসঙ্গে মেশান, পরিমাণমতো লবণ দিয়ে মেখে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
দোমাছা
দোমাছা, (চট্টগ্রাম)
উপকরণ: ছুরি মাছের শুঁটকি ১ কাপ, কোরাল চিংড়ি মাছ ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, গোটা রসুন কোয়া ৭-৮টি, পেঁয়াজবাটা ১ চা-চামচ, টমেটোকুচি ১ টেবিল চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া দেড় চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টা ও ধনেপাতাকুচি ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: ছুরি মাছের শুঁটকি টুকরা করে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। নরম হলে ভেতরের কাটা বেছে নিন। চিংড়ি মাছের মাথা ফেলে ধুয়ে রাখুন। অথবা কোরাল মাছ নিলে ছোট ছোট করে কেটে তেলে পেঁয়াজ অল্প ভেজে হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, রসুনবাটা, পেঁয়াজবাটা, লবণ ও টমেটোকুচি দিয়ে কষান। এবার শুঁটকি দিয়ে নাড়ুন। চিংড়ি অথবা কোরাল মাছের টুকরা ঢেলে কষান। অল্প পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পর কাঁচা মরিচ ও ধনেপাতাকুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।

 দোমাছা
চিংড়ি শুঁটকি দিয়ে লতি, (বরিশাল)
উপকরণ: মাথা ছাড়ানো চিংড়ির শুঁটকি আধা কাপ, কচুরলতি ৫০০ গ্রাম, রসুনবাটা দেড় চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ৯ টেবিল চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ।
প্রণালি: চিংড়ি শুঁটকির মাথা ফেলে ধুয়ে রাখুন। কচুরলতির আঁশ ফেলে টুকরা করে নিন। তেলে পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, মরিচগুঁড়া ও চিংড়ি শুঁটকি দিয়ে দিন। লতি সেদ্ধ হলে ধনেপাতা, মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিন।
নোনা ইলিশে বেগুন

নোনা ইলিশে বেগুন, (চাঁদপুর)
উপকরণ: নোনা ইলিশ ৪ টুকরা, বেগুন ৫০০ গ্রাম, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, তেল ১ চা-চামচ, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচামরিচ ৪-৫টি, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ।
প্রণালি: নোনা ইলিশ পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। বেগুন টুকরা করে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তেলে পেঁয়াজ অল্প ভেজে হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া ও রসুনবাটা দিয়ে কষান। ইলিশ ও বেগুন ঢেলে দিয়ে নাড়তে থাকুন। অল্প পানি দিয়ে ঢেকে দিন। বেগুন সেদ্ধ হলে জিরাগুঁড়া ও কাঁচা মরিচ দিন। নোনা ইলিশে পর্যাপ্ত লবণ থাকায় তরকারিতে লবণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
চ্যাপা শুঁটকি ভুনা
চ্যাপা শুঁটকি ভুনা, (ময়মনসিংহ)
উপকরণ: চ্যাপা শুঁটকি ৪টা, রসুনকুচি আধা কাপ, তেল ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনেগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো ও কাঁচামরিচ ২-৩টি।
প্রণালি: চ্যাপা শুঁটকি কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি, রসুনকুচি, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া ও শুঁটকি দিয়ে কষান। সামান্য পানি ও লবণ দিয়ে ঢেকে দিন। তেল ওপরে উঠে এলে কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে নামিয়ে নিন। গরম-গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
সূত্রঃ প্রথম আলো

No comments:

Post a Comment